আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২

আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়মঃ দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার কাজ হল পাসপোর্ট তৈরি করে। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এই কারণে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অন্য কোন দেশে যেতে চান। তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। 

অনেক সময় দেখা যায় আমাদের জটিলতার কারণে দ্রুত সময় পাসপোর্ট তৈরি করতে হয়। বিশেষ করে যারা মেডিকেল ভিসা নিয়ে দেশের বাইরে যেতে চান,তাদের আর্জেন্ট পাসপোর্ট তৈরি করার দরকার হয়। কিন্তু কিভাবে আর্জেন্ট পাসপোর্ট তৈরি করতে হয় তা অনেকে জানে না। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি,আমাদের সাথে থাকবেন।

আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

বর্তমান সময়ে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। এই কারণে আমাদের সকল মাধ্যমগুলো তথ্যপ্রযুক্তিতে ভরে গেছে। ঠিক তেমনি ভাবে পাসপোর্ট এর বাইরে নয়। বর্তমান সময়ে আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে ই পাসপোর্ট করতে হবে। অর্থাৎ পাসপোর্ট এর ডিজিটাল রূপান্তর হল ই পাসপোর্ট। 

যে সকল ভাই ও বোনেরা খুব দ্রুত সময় পাসপোর্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন,তাদের জন্য ই পাসপোর্ট অনেক ভালো হবে। বিশেষ করে ই পাসপোর্ট এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। যেমন ঘরে বসেই আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও অল্প সময় পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ই পাসপোর্ট করতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে। 

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে


আপনি যদি আর দেন পাসপোর্ট করতে চান,তাহলে অবশ্যই আপনাকে ই পাসপোর্ট করতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে সকল কাগজপত্র আগে থেকেই স্ক্যান করে রাখতে হবে। এছাড়াও আপনাকে কোন কাগজ সত্যায়িত করতে হবে না। চলুন দেখে নেই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। 

  • এ পাসপোর্ট করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম লাগবে। অর্থাৎ যে কাগজের মাধ্যমে আপনি আবেদন করবেন। 
  • ভোটার আইডি কার্ড/অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • ঠিকানার প্রমাণ পত্র হিসেবে বিদ্যুৎ বিল এর কাগজ। 
  • পূর্ববর্তী যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে তার ফটোকপি। যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে জমা দেওয়া লাগবে না। 
  • অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অবশ্যই পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। 
  • পেশাগত সনদ। অর্থাৎ শিক্ষার্থী হলে স্টুডেন্ট আইডি ও চাকরিজীবী হলে প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে। 
  • চারিত্রিক সনদপত্র/নাগরিক সনদপত্র।

উপরোক্ত এই কয়েকটা কাগজপত্র হলে আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। অবশ্যই উপরের কাগজপত্র গুলো আপনাকে সত্যায়িত করতে হবে না। তবে আপনাকে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করার পর, স্ক্যান করে রাখতে হবে। 


ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে


পাসপোর্ট করার জন্য আপনার ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করার পর আপনাকে খরচ সম্পর্কে জানতে হবে। পাসপোর্ট করতে বর্তমান সময় আপনার ৪৫০০-১৩০০০ টাকা লাগবে। অর্থাৎ আপনার পাসপোর্ট এর মেয়েদের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট এর দাম নির্ধারণ করা হয়। আপনি যদি পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ পড়বে। আবার যদি ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রায় ১০ হাজার টাকা লাগবে। 

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩


ঘরে বসে নিজেই আপনি এখন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিতে হবে। ই পাসপোর্ট করার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি সুবিধা হল আপনাকে কোন কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে না। শুধু আপনাকে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করার পর স্ক্যান করে সাবমিট করতে হবে। 

ঘরে বসে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমেই এইn  https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে। 

পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন আবেদন ফরম ফিলাপ করবেন, তখন কোনক্রমেই ভুল করা যাবে না। অর্থাৎ আপনার তথ্যগুলো যদি ভুল ভাবে সাবমিট দিয়ে থাকেন। তাহলে আপনার ই পাসপোর্ট পেতে অনেক দেরি হবে। 

এ কারণে আপনাকে সময় নিয়ে এই কাজগুলো করতে হবে। এখন আপনি যদি নিজেই এই কাজগুলো করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে হবে। কারণ অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে। 


১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট


পাসপোর্ট কে আরো সহজ করে দেওয়ার জন্য এসে গেছে ই পাসপোর্ট। বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট এর ডিজিটাল নাম হলো ই পাসপোর্ট। অর্থাৎ আপনি ঘরে বসে এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক সময় দেখা যেত আমাদের পাসপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন অফিসে অফিসে ভোগান্তির শিকার হতে হত। 

তারপরেও আমাদের কাঙ্খিত চাহিদা অনুযায়ী পাসপোর্ট এর মেয়াদ বাড়ানো হতো না। কারন আমাদের সকলের ইচ্ছা থাকতো একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করার। তেমনি ইচ্ছা বর্তমান সময়ে পূরণ করা সম্ভব। এখন এসে গেছে দীর্ঘ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট। 

অর্থাৎ আপনি দীর্ঘ ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। চলুন দেখে নেই দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে কি কি শর্ত মেনে চলতে হবে। অথবা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কাদের জন্য প্রযোজ্য। 

সাধারণত বাংলাদেশের নাগরিক। অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার ঊর্দ্ধে এবং ৬৫ বছরের নিচে তারাই ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট পাবেন। এটা থেকে বোঝা গেল যে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর থাকতে হবে। এ কারণে যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে রয়েছে। তারাই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা ভোগ করবে। 

পরিশেষে কিছু কথা

আশা করি, আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম কারণ সম্পর্কে আপনি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি দ্রুত সময় পাসপোর্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ই পাসপোর্ট করতে হবে। আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট ও পাসপোর্ট করার জন্য টাকা জমা দিতে হবে। সবকিছুই আমরা উপরের আর্টিকেল আলোচনা করেছি। 

বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট কে আরো সহজ করে দিয়েছে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট। এখন আর পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসে নিজেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই যারা আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম জানতে চাচ্ছিলেন। আশা করি তারা কিভাবে আর্জেন্ট পাসপোর্ট তৈরি করবেন তা জেনে গেছেন। 

LikeAddComments